টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয়

টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয় এ বিষয় নিয়ে যদি আপনার মনে প্রশ্ন থাকে তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন। আর আমাদের মধ্যে অনেকেই টিন সার্টিফিকেট কি এ বিষয়ে জানেন না কিংবা টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে ও কারো ধারণা নেই। তাই আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয় এ ব্যাপারে ধারণা নিতে চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন যার কারণে আপনি টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয় এ ব্যাপারে জানতে পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয়

টিআইএন সার্টিফিকেট সাধারণত একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর শংসাপত্রকে বোঝায়। এটি একটি সরকারী নথি যা সরকারী ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যক্তি, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়। এই শংসাপত্রের নির্দিষ্ট নাম এবং বিন্যাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য একই থাকে: কর-সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপের জন্য করদাতাদের অনন্যভাবে সনাক্ত করা।

পেজ সূচিপত্র:

টিন সার্টিফিকেট শনাক্তকরণ নম্বর:

একটি TIN হল একটি অনন্য বর্ণসংকেত কোড বা নম্বর যা একজন করদাতাকে বরাদ্দ করা হয়। এটি ট্যাক্স-সম্পর্কিত লেনদেন এবং বাধ্যবাধকতা ট্র্যাক এবং সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

টিআইএন শংসাপত্রের ধরন:

 ব্যক্তি, ব্যবসা, কর্পোরেশন এবং অলাভজনক সংস্থাগুলি সহ বিভিন্ন সংস্থাকে টিআইএন জারি করা হয়। দেশের কর ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে, বিভিন্ন ধরনের টিআইএন থাকতে পারে, যেমন ব্যক্তিদের জন্য একটি ব্যক্তিগত টিআইএন এবং কোম্পানির জন্য একটি ব্যবসায়িক টিআইএন।

ট্যাক্স রিপোর্টিং:

 ট্যাক্স রিপোর্টিং এবং সম্মতির জন্য টিআইএন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময়, আর্থিক লেনদেন রিপোর্ট করার সময় এবং কর সংক্রান্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় এগুলি ব্যবহার করা হয়।

কর ফাঁকি প্রতিরোধ: 

টিআইএনগুলি কর কর্তৃপক্ষকে নিরীক্ষণ করতে এবং করদাতারা তাদের কর বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। তারা কর ফাঁকি প্রতিরোধ এবং করযোগ্য লেনদেন ট্র্যাক করার একটি উপায়।

আর্থিক লেনদেন: 

বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের জন্য টিআইএন প্রয়োজন হতে পারে, যেমন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণের জন্য আবেদন করা বা সম্পত্তি কেনার জন্য। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি প্রায়ই টিআইএনগুলিকে অর্থ পাচার বিরোধী এবং ট্যাক্স রিপোর্টিং প্রবিধানগুলি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করে।

আন্তর্জাতিক লেনদেন:

 টিআইএন কখনও কখনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা হয় একটি নির্দিষ্ট দেশে ব্যবসা করছে এমন বিদেশী সত্তা চিহ্নিত করতে। তারা আন্তঃসীমান্ত আর্থিক কার্যক্রম ট্র্যাক এবং রিপোর্ট করার একটি উপায়।

গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা: 

টিআইএন হল তথ্যের সংবেদনশীল অংশ, এবং পরিচয় চুরি এবং জালিয়াতি প্রতিরোধ করার জন্য সেগুলিকে গোপন রাখা উচিত।

টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয়:

প্রথম ধাপ:

প্রথমে আপনার স্মার্টফোন থেকে আপনার পছন্দের যে কোন একটি ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ বাড়ে E-TIN লিখে সার্চ দিবেন। সার্চ দেওয়ার পর আপনার সামনে শুরুতেই একটি ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন। 

তারপর ওয়েবসাইটের নতুন পেজ ওপেন হওয়ার পর Register নামের একটি অপশন পাবেন। সেই অপশনে ক্লিক দেওয়ার পর আপনার কাছে একটি ফর্ম আসবে সেই ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। 


আপনার USER আইডি পাসওয়ার্ড, সিকিউরিটি কোশ্চেন এবং নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস সঠিকভাবে দিয়ে ফর্মটি পূরণ করবেন। আর ফর্মটি পূরণ করার আগে আপনারা এইসব তথ্যের একটি খসড়া নোট বা যেকোনো একটি নোটপ্যাডে সেভ করে রাখবেন যেন পরবর্তীতে যেকোনো সময় আপনার এই তথ্যগুলো হাতের নাগালে পেয়ে থাকবেন। এবং যে সিকিউরিটি কোশ্চেনটি আপনি দিবেন সেটি ভালোভাবে মনে রাখবেন কারণ আপনার অ্যাকাউন্টের যদি কখনো কোন সমস্যা হয় তাহলে এই অ্যাকাউন্টটি আপনার কিনা সেটা যাচাই করার জন্য সিকিউরিটি কোশ্চেন আপনাকে করা হবে এবং সেটি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে সিকিউরিটি কোশ্চেনটি দিয়েছিলেন যথাযথভাবে সেই উত্তরটি দিতে পারলে আপনার অ্যাকাউন্টটি আবার আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। 

দ্বিতীয় ধাপ:

ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করার পর রেজিস্টার বাটনে চাপ দেওয়ার পর আপনার কাছে একটি ফোন ভেরিফিকেশন কোড চাইবে এবং আপনি যে নাম্বারটি ফর্মে দিয়েছিলেন সেই নাম্বারে ই-টিন ওয়েবসাইট থেকে একটি ভেরিফিকেশন কোড সেই নাম্বারে মেসেজ করা হবে। এবং সেই কোডটি দেওয়ার পর পুনরায় আপনাকে আবার লগইন করতে বলবে। 

তৃতীয় ধাপ:

আপনার ফর্মে দেওয়া সেই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন। নিচে একটি ক্লিক হেয়ার নামের অপশন পাবেন এবং সে অপশনে টাচ দেওয়ার পর পুনরায় আপনাকে একটি ফরম দেওয়া হবে। সেই ফর্মে আপনার বিজনেসের ধরন এবং আপনি কি বাংলাদেশ থেকে বসবাস করছেন কিনা? এবং আপনার কি এনআইডি কার্ড আছে কিনা এ সকল তথ্য পূরণ করবেন এবং এনআইডি কার্ডের তথ্য মোতাবেক এই ফর্মটি পূরণ করবেন। এবং আপনি কোথা থেকে আয় করছেন আয়ের প্রধান উৎস কি এসব বিষয়ে পূরণ করবেন। তারপর নেক্সট বাঁটনে চাপ দিবেন। 

চতুর্থ ধাপ:

নেক্সট বাটনের চাপ দেওয়ার পর আপনার সামনে আরো একটি বড় ফর্ম শো হবে এবং সেই ফর্মে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য মোতাবেক আপনার নাম আপনার বাবা-মা এর নাম জন্ম তারিখ আপনার বর্তমান ঠিকানা আপনার স্থায়ী ঠিকানা এসব বিষয়ে সঠিকভাবে পূরণ করবেন। তারপর GO TO NEXT অপশনে ক্লিক দেওয়ার পর আপনি যে তথ্যগুলো পূরণ করেছেন তা পুনরায় আপনাকে দেখানো হবে । এবং তারপর আপনার সামনে একটি চেক বক্স আসবে I herely Confrim এই বক্সটি পূরণ করে SUBMIT APPLICATION অপশানে চাপ দিবেন। 


তারপর PRINT DETAILS অথবা VIEW SERTIFICATE অপশনে চাপ দিয়ে আপনার সার্টিফিকেটটি দেখতে পারবেন এবং সেখান থেকে আপনার TIN নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। টিন সার্টিফিকেট কি এবং টিন সার্টিফিকেট কিভাবে খুলতে হয় তা জানতে পেরেছেন তাই পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে আপনি এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url