দাঁত ব্যাথার কারন - দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কি

প্রিয় বন্ধুগণ, নিশ্চয়ই আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন তাই না? এবং দাঁতের ব্যথার জন্য আপনি অনেক ডাক্তারের কাছে গিয়েও রেহাই হয়নি। তবে সমস্যা নেই আপনি যেহেতু এই পোস্টটি করতে এসেছেন তাই নিশ্চিত থাকুন যে আপনি দাঁতের ব্যথা নিরাময় করার বেশ কিছু কার্য করে টিপস পেয়ে যাবেন। তবে দাঁতের ব্যথার কারণ যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে সতর্কতা বা সাবধানতার সাথে জীবন যাপন চলার মাধ্যমে এবং আপনি কিছুটা ব্যথা থেকে মুক্ত পেতে পারেন। 

দাঁত ব্যাথার কারন - দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কি

তো দাঁতের ব্যথা হলে কি করবেন বা আপনার করণীয় কি এ বিষয়ে চলুন আলোচনা করা যাক। দাঁত মানুষের কত বড় সম্পদ এটি হয়তো যে দাঁত হারিয়েছে সেই বোঝে তাই আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে " যে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে হয়। " দাঁত রক্ষায় আমাদেরকে আরো সোচ্চার হওয়া উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁতের ব্যথার কারণ এবং অতিরিক্ত দাঁত ব্যথা করলে আপনি কোন পদক্ষেপগুলো নিবেন। 

আলোচ্য বিষয়ঃ 

দাঁত ব্যাথার কারন

দাঁত ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু কারণ যেগুলোর জন্যই মূলত দাঁত ব্যথা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান কথা হলো অসতর্কতা। অসতর্কতার কারণেই মূলত দেখা হয় আপনি যদি আপনার দাঁত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে না পারেন এবং সচেতনতা অবলম্বন না করেন সেক্ষেত্রে দাঁত ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে ও পরে দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। খাওয়ার আগে যেমন দাঁত ব্রাশ করতে হয় ঠিক তেমনি খাওয়ার পরেও ব্রাশ করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পূর্ণ।  

আরো পড়ুনঃ  প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

কেননা আপনি যে খাবারটি গ্রহণ করবেন বা চিবিয়ে খাবেন সে খাবারের কনা যদি দাঁতে লেগে থাকে সেখান থেকে দাঁতে পোকা ধরা থেকে শুরু করে দাঁত ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে এবং আপনার দাঁত নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া আপনি যদি নিয়ম তান্ত্রিকতা মেনে না চলেন সেক্ষেত্রে আপনার দাঁতে ব্যথা হতে পারে যেমন গরম পানি পান করার পর আবার যদি ঠান্ডা পানি পান করেন এতে দাঁতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে এবং দাঁতের শিরশির ভাব হতে পারে এবং আপনার দাঁতের শিকড়কে নষ্ট করে দিতে পারে। মূলত এসব কারণে দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে। 

দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কি

দাঁত ব্যথা হলে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু মাধ্যম বা পদক্ষেপগুলো নিয়ে থাকছে এখনকার আলোচনা। অতিরিক্ত দাঁত ব্যাথা হলে সেক্ষেত্রে আপনি গরম পানি করে কুলি করতে পারেন। এবং সে পানি তো অবশ্যই লবণ এর মিশ্রণ থাকতে হবে। দাঁত কে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এতে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেন বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। 

আরো পড়ুনঃ  দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

এবং যে সকল খাবার গুলো গ্রহণ করার ফলে দাঁতে ক্ষয় হয় বা দাঁতের ক্ষতি হয় এমন কাজগুলো বা এমন খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। দাঁতে ব্যথা হলে অ্যালোভেরার ব্যবহার করতে পারেন কেননা অ্যালোভেরা আমাদের দাঁত কে আরো বেশি মজবুত করে তোলে। দাঁত ব্যথা হলে আপনি এই পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার ব্যথাকে উপশম করতে পারেন। 

দাঁতের ব্যথার জন্য কি ওষুধ খেতে হবে?

দাঁতে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের ব্যথা নির্মূল করার চেষ্টা করবেন এবং সে ক্ষেত্রে যদি দাঁতের ব্যথা নির্মূল না হয় তাহলে আপনি যে সকল ঔষধ গুলো সেবন করতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু ওষুধের নাম আমি বলব - দাঁতের ব্যথার জন্য আপনি কোন কলিমেক্স ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে আপনার বয়স অনুযায়ী কতটুকু খেতে হবে এবং দিনে কতবার খেতে হবে এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

তাই দাঁতের ব্যথা এর জন্য কি ঔষধ সেবন করতে হবে সেটি আমার পক্ষে যথাযথভাবে বলা মুশকিল।কেননা আমি জানিনা যে আপনি কেমন বয়সের লোক বা কোন বয়সের মানুষ এই পোস্টটি পড়তেছেন। তাই আপনার অসহনীয় দাঁতের ব্যথা হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন এতে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি হবে না। 

দাঁত ব্যথায় লবঙ্গের পেস্ট বানানোর উপায়?

দাঁতের ব্যথা রোধ করার জন্য লবঙ্গের ভূমিকা অপরশীম। কেননা লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে। এবং আপনি যদি লবঙ্গ এর পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার দাঁতে আর কোন ব্যথা থাকবে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে লবঙ্গে থাকা যে উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো দাঁতের ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে কাজ করে। এবং আক্রান্ত দাঁত কে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। তাই দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে এসেছে। আপনি যদি দু তিনটি লবঙ্গ নিয়ে গুঁড়ো করে তার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে দাঁতে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনার দাঁত এর ব্যথা উপশম হবে এবং আপনি আশা করছি দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। 

দাঁতের ব্যথায় রসুনের পেস্ট বানানোর উপায়?

প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের ব্যাথার রোধ করার জন্য রসুন এর ভূমিকা ও রয়েছে অনেক। আমাদের পূর্বপুরুষরা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য সনাতন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করত এবং সেগুলো ব্যবহারের ফলে ঘরোয়া ভাবে দাঁতের ব্যথা রোধ করত। তাই দাঁতের ব্যথায় প্রাচীনকাল থেকেই রসুন এর ব্যবহার হয়ে এসেছে। রোশনে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ঔষধি যে উপাদান রয়েছে সে উপাদান গুলো দাঁতের ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রসুন পরিমাণ মতো নিয়ে এবং রসুন সুন্দর করে থেঁতলে কিছু লবণ মিশিয়ে নিন। এবং রসুন ও লবণের পেস্ট দাতে ব্যবহার করুন তাহলে খেয়াল করে দেখবেন যে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে গিয়েছে। এছাড়া আপনি রসুন ও লবনের পেস্ট চিবিয়ে খেতেও পারেন এর ফলেও আপনি দাঁতের ব্যথা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন। 

দাঁত থেকে মাথা ব্যাথা হলে কিভাবে বুঝবো?

দাঁত থেকে যদি মাথা ব্যথা হয় তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য চলুন একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অংশ শিরা ও উপশিরা এর প্রতিটি সিগন্যাল আমাদের মাথা থেকে আসে। সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের যে কোথাও ব্যথা হোক না কেন আমাদের মাথায় এবং আমাদের মাথার নিউরনে সেটি হিট করে এবং যার কারণে আমরা অনুভূতি পেয়ে থাকে। তাই প্রাথমিকভাবে বলা যায় যে দাঁতের সাথে মাথার ও কানেকশন থাকবে এটি ব্যতিক্রম কিছু নয়। তবে যদি দাঁত থেকে মাথা ব্যাথার উৎপত্তি হয়ে থাকে তাহলে এরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলোকে পরিলক্ষিত করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার দাঁত থেকে এ মাথা ব্যথা এর সৃষ্টি হয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ  ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

যদি আপনার চোয়াল এর বেশি গুলো টান থাকে এবং আপনার ঘাড় ও থুতনি জুড়ে যদি বেশি টান কিংবা সামান্য ব্যথা থাকে তাহলে যদি মাথাব্যথা এর অনুভূতি হয় তাহলে বুঝে নিবেন যে এই মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে আপনার দাঁত। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কোন লক্ষণ গুলো দেখার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো যে এ ব্যথা এর উৎপত্তি দাঁত থেকে হয়েছে। এই পুরো পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি দাঁত ব্যথার কারণ এবং দাঁত ব্যাথা হলে কি কি পদক্ষেপ গুলো নিবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছে তাই আপনার বন্ধুদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url