সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আপনি যদি অত্যন্ত রোগা হয়ে থাকেন তাহলে মোটা হওয়ার ইচ্ছা আপনার মধ্যে জাগতেই পারে। প্রিয় পাঠক চলুন খুব অল্প সময়ে কিভাবে মোটা হওয়া যায় এ বিষয়ে আলোচনা করা যায়। আর মোটা হওয়ার মনোবাসনা আপনার পূরণ হোক এই প্রত্যাশাই রাখি। তবে মনে রাখবেন সুস্বাস্থ্য বলতেই মোটা শরীরকে বুঝায় না। সুস্বাস্থ্য এবং মোটা দুটোই আলাদা বিষয়। আপনার শরীর অনেক মোটা কিংবা আপনি মোটা তবে যদি আপনার শরীরের রোগ বাসা বাঁধে তাহলে সেটাকে কখনোই সুস্বাস্থ্য বলে না। 

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

তাই মোটা হওয়ার পাশাপাশি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। বর্তমানে অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকে বা হারবাল জাতীয় ঔষধ সেবন করে। এবং এই হারবাল জাতীয় ওষুধ সেবনের পর অনেকেই মোটা হয় আবার কয়েকদিন যেতে না যেতেই ঠিক আগের অবস্থায় ফিরে আসে।তবে মনে রাখবেন হারবাল সেবন করা বা মোটা হওয়ার জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

আলোচ্য বিষয়ঃ 

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়

মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ফ্যাট। তাই যে সকল খাবারের প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট রয়েছে বা ফ্যাটি এসিড রয়েছে সে সকল খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে চান বা মাত্র সাত দিনের মধ্যে নিজেকে আরও মোটা হিসেবে দেখতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নিয়ম করে কিছু খাবার খেতে হবে যেমনঃ ডিম, মাখন, ঘি, কোমল পানীয়, আলু ভাজা, চকলেট, এসকল খাবার খেতে হবে। এছাড়া গরু এবং ছাগলের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর এই প্রোটিন আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে। 

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

এবং প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার শরীরকে মাত্র সাত দিনের মধ্যে নিজেকে হিসেবে দেখতে পারবেন। আপনি দ্রুত কিংবা সাত দিনের মধ্যে মোটা হতে চাইলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন এবং এটি সাত দিনের মোটা হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। 

কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি

কি খেলে তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায় এ ব্যাপারে যদি আপনার খাদ্য অভ্যাস বা খাদ্যের তালিকা না জানা থাকে তাহলে চলুন জেনে নেই আপনি যে সকল খাবার গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে অতি দ্রুত মোটা হতে পারবেন। যেহেতু আমরা ইতিমধ্যেই উপরে আলোচনা করেছি কোনগুলো খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে মোটা হতে পারবেন তার ধারাবাহিকতায় সেই খাবারগুলো গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে আরো হেলদি বা মোটা বানাতে সক্ষম হবেন। 

এবং উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও যে সকল খাবারগুলো গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আরো মোটা হতে পারবেন সেগুলো হলোঃ বাদাম, ছোলা, মাংস, দুধ, মধু, খিচুড়ি, ফলের রস ইত্যাদি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মোটা হতে পারবেন। তাই আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে চান সেক্ষেত্রে এ খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন। আশা করছি অতি দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য কার্যকারী টিপস আপনি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। 

মোটা হওয়া ও সুস্বাস্থ্যের মধ্যে পার্থক্য কি

আসলে মোটা বলতেই কি বুঝায় সুস্বাস্থ্য নাকি সুস্বাস্থ্য বলতে বুঝায় মোটা এ ব্যাপারে যদি আপনার মধ্যে দ্বিধার কাজ করে চলুন আজকে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। আসলে সুস্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায় আমরা অনেকেই সুস্বাস্থ্য বলতে মোটা শরীরকে বুঝে থাকি কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুস্বাস্থ্য সেটিকেই বলা উচিত কর্মক্ষম শরীর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এবং যে শরীরের কোন ধরনের রোগ বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করতে পারেনা সেই শরীরকেই সুস্থ শরীর বলা হয়ে থাকে। এবং এ রোগ বালা মুক্ত শরীরকে সুস্বাস্থ্য বলা হয়। 

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

তার মানে এই না মোটা শরীর মানেই অসুস্থ বা অসাস্থ্যকর অবস্থা।সেই ধারণাও  ভুল। মনে করুন আপনার শরীর অনেক ফ্যাটি বা আপনি অনেক মোটা সেক্ষেত্রে আপনার শরীরকে সুস্বাস্থ্য বলা যেতে পারে আবার নাও পারে। আপনি অনেক মোটা হওয়া সত্ত্বেও যদি আপনার ভিতরে রোগব্যাধি বাসা বাধে সে ক্ষেত্রে সেই শরীরকে কখনোই সুস্বাস্থ্য বা সুস্থ শরীর বলা যাবে না। আশা করছি আপনি মোটা হওয়া এবং সুস্বাস্থ্যের মধ্যে পার্থক্য কি এ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়েছেন। 

কোন ভিটামিন ট্যাবলেট খেলে শরীর মোটা হবে

মোটা হওয়ার জন্য আমরা অনেকেই ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকি অনেকের পরামর্শ মতে। তবে সকলের পরামর্শ অনুযায়ী এ ধরনের ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ভিটামিন এর ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে তার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার শরীরে কোন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে নয়তো সে ওষুধ সেবন করা আপনার জন্য ঠিক নয়।সুষম খাদ্য গ্রহণের জুড়ি মেলা ভার। কেননা সুষম খাদ্যের খাদ্যের যে ছয়টি উপাদান সবগুলোই থাকে।

এছাড়া আমাদের শরীরকে মোটা করার জন্য চর্বি জাতীয় খাবার গুলো বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আর ভিটামিন ওষুধ সেবন করার ক্ষেত্রে আপনার বয়স এবং আপনার শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে ওষুধ খাওয়া ভালো। তবে আপনি কোন বয়সের মানুষ এ পোস্টটি পড়তেছেন, যেহেতু আমার জানা নাই তাই আলাদা করে আর আপনাকে সাজেস্ট করতে পারছি না। তাই দয়া করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিনের ওষুধ সেবন করতে পারেন। 

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

চলুন এ পর্যায়ে এখন আমরা জানার চেষ্টা করি যে সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়। আমরা অনেকেই সকালে উঠে ফ্রেশ হওয়ার পর নাস্তা করে থাকি। তবে সকালের নাস্তা এর সাথে নিজের ওজন বাড়ানোর জন্য যে খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম দুধ, খেজুর, ডিম এবং কলা। আর এসকল খাবারের মাঝে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টিকর উপাদানই পাওয়া যায়। আর দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে। তাই সকালে উপযুক্ত খাবার গুলো গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আশা করছি আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি অতি দ্রুত মোটা হবেন ইনশাল্লাহ। 

বেশি ভাত খেলে কি মোটা হওয়া যায়

আমরা অনেকেই মনের মধ্যে ধারণা পোষণ করি যে বেশি বেশি ভাত খেলে মোটা হওয়া যায়। আপনার এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মোটা হওয়ার জন্য বেশি ভাত খাওয়ার প্রয়োজন নেই বা ভাত আমাদের শরীরের জন্য মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনই কার্যকর ভূমিকা রাখেনা। মোটা হওয়া কিংবা না হওয়া এটি নির্ভর করে খাবারের পুষ্টি এবং খাবারের গুণগত মানের উপর। তাই ভাত আমাদের শরীরের ওজন কখনোই বাড়ায় না। তবে বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে ভাত খেলে শরীরের উপকার হয় তবে বেশি বেশি ভাত খেলে যে মোটা হওয়া যায় এ ধারণা সম্পন্ন করে আশা করছি আপনি স্পষ্ট উত্তর পেয়েছেন। 

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url