উকুন মারার ঘরোয়া টিপস জেনে রাখুন

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় অতিরিক্ত উকুনে বিরক্ত। তাই এই পোস্টটি করতে এসেছেন। আপনি যদি উকুন মারার ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে না জানে তাহলে এই পুরো পোস্টটি করার মাধ্যমে মারার বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের শরীরে পরজীবীদের বসবাস। কিন্তু এই পরজীবী গুলো এক সময় আমাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে আমরা এটিকে দমন করার চেষ্টা করি। ঠিক উকুন ও আমাদের শরীরে বসবাসকারী এক ধরনের পরজীবী। 

উকুন মারার ঘরোয়া টিপস জেনে রাখুন

আর এই উকুন বিষয়ে যদি আপনি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে উকুন মারার ঘরোয়া টিপ সম্পর্কে জানার আপনি বেশ আগ্রহী। তো চলুন ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে উকুন মারতে হয় বা কোন পদক্ষেপগুলো অবলম্বন করলে আমাদের মাথায় আর কোন ধরনের উকুন থাকবে না এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নিই। মাথায় উকুন থাকলে সে ক্ষেত্রে অনেকে লজ্জায় পড়েন তবে এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। উকুন কম বেশি সবারই থাকে। তাই উকুন মারার আগে উকুন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য এবং কিভাবে এটি দমন করা যায় চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিই। 

আলোচ্য বিষয়ঃ 

উকুন মারার তেল

বর্তমানে উকুন মারার জন্য বাজার ধরনের তেল পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি হয়তো অনেক তেল ব্যবহার করেছেন তবুও এর থেকে নিরাময় পাননি। অনেক তেল কিনে প্রতারিত হয়েছেন কিন্তু উকুন দূর হয়নি সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে উকুন মারার সবচেয়ে কার্যকরী তেল সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। উকুন মারার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে কোন বিষগুলো উকুনের বংশবিস্তার ধ্বংস করে এবং মাথা থেকে উঠে দূর করে। আপনারা সবাই ভিনিগার জেনে থাকবেন। ভিনিগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে এবং এই এসিটিক অ্যাসিটিক এসিড উকুন এর বংশবিস্তার ধ্বংস করে এবং উকুন মারার বিষ হিসাবে বেশ কার্যকর। 

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন

এছাড়া ট্রি ট্রি ওয়েল নামক এক ধরনের তেল পাওয়া যায় সেটি আপনারা মাথার তালুতে লাগান এবং এটি ব্যবহার ফলের উকুন দূর হয়ে যাবে। তবে এর পাশাপাশি আপনি লেবুর ও রসুন মিশ্রিত পেস্ট মাথায় ব্যবহার করার মাধ্যমে করতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া পিয়াজ এর পেস্ট ব্যবহার করলে উকুন দূর হয় কেননা পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণ সালফার থাকে এবং এর সালফার এর যম হিসাবে কাজ করে। 

বাদামি চুলে উকুন চেনার উপায়?

অনেক সময় আমরা কালো চুলের ভিতর উকুন চিনতে পারি কিন্তু বাদামি রঙের চুলের ভিতর উকুন চেনা বেশ দায় হয়ে পড়ে। কেননা উকুন সাধারনত কিছুটা লালচে বাদামী রঙের হয়ে থাকে। এবং এ ধরনের চুলে উকুন চিনতে পাড়া মুশকিল হয়ে যায়। তো চলুন আমরা জেনে নিই হালকা লালচে বাদামী রঙের চুলে কিভাবে আপনারা উকুন চিনতে পারবেন। প্রথমত চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করে মাথার চুল পরিষ্কার করবেন এবং ঘন চিরুনি দিয়ে মাথার চুল আঁচড়াবেন। এবং মাথার চুল আসরানোর সময় নিচে ুন সাধারনের টিস্যু অথবা কোন একটি তোয়ালে ব্যবহার করবেন তাহলে যদি সেখানে উকুন পড়ে খুব সহজেই দেখতে পাবেন। 

উকুন মারার ঘরোয়া টিপস

অতিরিক্ত উকুনের অত্যাচারে মানুষ যখন বিরক্ত হয়ে যায় তখন এই উকুনকে নাশ করার চিন্তা করে।আর উকুন যে মাথায় থাকবে সে মাথা সব সময় চুলকানির মতো ভাব দেখা যায়। এবং মাথার রক্ত খেয়েই উকুন সাধারণত জীবন যাপন করে। তাই উকুন মারা অত্যন্ত জরুরী যার ফলে আমরা আমাদের মাথাকে ফ্রেশ রাখতে পারব। তবে উকুন মারার অনেক পদ্ধতি রয়েছে ঘরোয়া ভাবে অনেকেই উকুন দমন করতে পারেন। নিমপাতা, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, নারিকেল তেল, ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে এবং এগুলোর পেস্ট করে তেলের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় মাথায় লাগালে উকুন মরে যাবে। 

এবং আপনার মাথা থেকে উকুন দূর হয়ে যাবে। প্রাচীনকাল থেকে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে মানুষ উকুন নাশ করে আসছে। এছাড়া নিম্নে কিভাবে নিম পাতার সাহায্যে উকুন নাশ করবেন বা দূর করবেন এ বিষয়ে বিস্তার আলোচনা করা হয়েছে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

নিম পাতা দিয়ে উকুন মারার উপায়

নিমের পাতা আমাদের মানুষের জন্য খুবই কার্যকরী একটু উপাদান। নিম গাছ এবং নিমের পাতা কিংবা নিম গাছের ছাল আমাদের জন্য কতটা উপকারী এ বিষয়ে বলতে গেলে বলে শেষ করা যাবে না। ঠিক তেমনি নিমের পাতা উকুন মারার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ বিষয়ে অনেকে জানে না আবার অনেকে জানেন না তবে শুধু জানলেই হবে না এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত। চলুন কিভাবে নিমের পাতা দিয়ে উকুন মারবেন বা মিমের পাতা দিয়ে উকুন মারার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। নিম পাতা সুন্দর করে বেটে নিতে হবে এবং এই নিমপাতার পেস্ট মাথার চুলে এবং মাথায় ব্যবহার করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

এমন ভাবে মাথার চুলে বা মাথার তালুতে নিমের পেস্ট ব্যবহার করবেন যেন চুলের গোড়া পর্যন্ত চলে যায় এবং মাথার তালু পর্যন্ত লেগে থাকে। ঠিক যেভাবে আমরা মাথার ছেলে মেহেদী দিয়ে থাকি তেমন করে লাগাতে হবে। তারপর দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করুন এবং পরে শ্যাম্পু কিংবা সাবানের মাধ্যমে মাথা ধুয়ে ফেলুন তাহলে এর ফলাফল আপনি দেখতে পাবেন। মূলত এভাবেই নিমপাতা দিয়ে মাথার উকুন দূর করতে পারবেন বা উকুন গুলোকে মারতে পারবেন। 

উকুনের ডিম দূর করার উপায়

আমরা আমাদের মাথার উকুনকে নাচ করার আগে যদি উকুনের বংশবিস্তার রোধ করতে পারে তাহলে অতিরিক্ত উকুন আমাদের মাথায় আর জন্মাবে না বা এর উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া খুব সহজ হবে। তাই উকুন মারার আগে আমরা উকুনের ডিম কিভাবে দূর করবো বা উকুনের ডিম ধ্বংস করার জন্য কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে হবে চলুন সে বিষয়ে জেনে নিই। উকুন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে মাথার চুলের ত্বকে যদি মেয়োনেজ মেখে তারপর মাথায় ক্যাপ দিয়ে যদি ঢেকে দেওয়া যায় তাহলে উকুন গুলো শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় মারা যায়। 

এবং সকাল বিকাল মাথায় ঘন চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়াইতে হবে। বাজার থেকে ঘন চিরুনি কিনে সেই চিরুনি ব্যবহার করার মাধ্যমে মৃত উকুন এবং উকুনের ডিম গুলোকে হ্রাস করতে পারবেন। এভাবেই উকুনের ডিম গুলো দূর করতে পারেন। 

উকুন মারার শ্যাম্পুর নাম কি

মাথার চুল পরিষ্কার করার জন্য কিংবা মাথায় প্রচুর ময়লা পড়লে সে ক্ষেত্রে আমরা অনেকের শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। এছাড়া শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের মাথার চুল অনেক ফুরফুরা হয়। তবে এ শ্যাম্পুর মধ্যে বেশ ভাগ রয়েছে। কিছু সংখ্যক শ্যাম্পু রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার মাথায় উকুনের উপদ্রব কমে যাবে বা আপনি উকুন কে নিরাময় করতে পারবেন। উকুন মারার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে পারমিথ্রিন । এবং আপনি এই ওষুধটি নারিকেল তেলের সাথে মিশ্রণ করে ব্যবহার করলে আপনার মাথায় আর কোন উকুনের উপদ্রব থাকবে না। 

আরো পড়ুনঃ  অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

তবে নারকেল তেলে পারমিথ্রিন মেশানোর জন্য যে অনুপাত লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ১ঃ৫ । পারমিথ্রিন মিশ্রিত নারিকেল তেল মাথার চুলে আধাঘন্টা এর মত লাগিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন তাহলে খেয়াল করে দেখবেন আপনার মাথায় উকুনের উপদ্রব কমে গেছে এবং উকুনের বংশ বিস্তার কমতে শুরু করেছে। আশা করছি আপনি উকুন মারার টিপ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url